আদি বরিশাল এক্সপ্রেস, বর্তমান বন্ধন এক্সপ্রেস
- Online Train Ticketing
- March 8, 2022
- 0
- 1005
- 1 minute read
শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক যখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, পূজোর ছুটি কিংবা প্রয়োজনে তার বাড়িবরিশাল আসতেন সেই কলকাতার শিয়ালদহ থেকে বরিশাল এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে তিনি সোজা খুলনা আসতেন। খুলনা থেকে তিনি স্টিমারে আসতেন বরিশাল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকু রের স্ত্রী মৃণালিনী দেবীও খুলনার কন্যা। সেই অর্থে রবীন্দ্রনাথও খুলনার জামাই। প্রচলিত আছে তারা ও এই বরিশাল এক্সপ্রেস ট্রেনেই কলকাতা থেকে খুলনা এসেছিলেন।
এই রেল সংযোগটি ছিল খুলনা শহর থেকে কলকাতা পর্যন্ত যা ১৮৮৪ সালে চালু হয়। বরিশাল এক্সপ্রেস ট্রেন নাম্বার ছিল ৩১ ও ৩২, খুলনা থেকে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে ছাড়তো বেলা ৩টা ০৫ মিনিটে কলকাতা স্টেশন পৌছাতো । তখন যাত্রাপথে সময় লাগতো ৬ ঘন্টা ৩৫ মিনিট । ১৯৪৭ সালের ভারত বিভক্তির পর এই ট্রেন সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়।
১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগ পর্যন্ত তিনটি মালবাহী ও যাত্রীবাহী ট্রেন ভারত ও পূর্ব পাকিস্তানে চলাচল করতো। কিন্তু তখন লোকাল কোন ট্রেন চলাচল করতো না।
তৎকালীন রুট আর ট্রেন গুলো ছিলঃ
১) ইস্টার্নবেঙ্গল এক্সপ্রেস – শিয়ালদহ থেকে গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত, ভায়া গেদে ও দর্শনা।
২) ইস্ট বেঙ্গল মেইল – শিয়ালদহ থেকে পার্বতীপুর পর্যন্ত, ভায়া গেদে ও দর্শনা। এবং
৩) বরিশাল এক্সপ্রেস – শিয়ালদহ থেকে খুলনা পর্যন্ত, ভায়া পেট্রাপোল-বেনাপোল। (১৯৪৭ এর পর বন্ধ হয়ে যায়)
১৯৭২ সালে, মালবাহী ট্রেন সেবার জন্য খুলনা – কলকাতা রুট ২ বছরের জন্য পুনরায় চালু হয়েছিল।
২০০০ সালের জুলাইয়ে ট্রেন যোগসূত্রটি পুনঃ প্রতিষ্ঠা করার জন্য ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৯৪ সাল থেকে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চলমান রয়েছে। ২০১৭ সালে নতু ন ট্রেন হিসেবে বন্ধন এক্সপ্রেস চালুকরা হয়। তখন দাবি উঠেছিল বন্ধন এক্সপ্রেসের পরিবর্তেতার আদি নাম বরিশাল এক্সপ্রেস কে পুর্নজীবিত করতে।
ছবিতে বরিশাল এক্সপ্রেস বনগাঁও
স্টেশনে অবস্থান করছে ।
১লা আগষ্ট ১৯৪৭
ছবি ও তথ্যসুত্রঃ Wikipedia & The Times Of India, sanjoy sikdar
লেখক পরিচিতিঃ
মো: ফারুক হোসেন
ব্যবসায়ী
নবাবপুর, ঢাকা।