আমার ছোটখাটো ছবিয়াল হয়ে উঠার গল্প
- Rail Story
- March 8, 2022
- 0
- 503
- 1 minute read
এই ডিজিটাল যুগে সবার হাতেই ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স এর বিভিন্ন ডিভাইস থাকে। ফোন তাদের মধ্যে অন্যতম। এখন ২০২২ সালে এসে এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যে, একটি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন না। আর স্মার্টফো ন মানেই, এক একটা ক্যামেরা কারণ স্মার্টফো ন এখন এতটাই আপডেট হয়ে গিয়েছে। তাই ছবি তোলা এখন পানির মতো সহজ। তাই এখন সবাই ছবি তুলে সবাই ফটোগ্রাফার। আমার শুরুটাও ঠিক এমনই। প্রথমে ফোন পরে ক্যামেরা। যদিও ক্যামেরা কেনার আগেই ক্যামেরা চালানোর একটু আধটুসুযোগ হয়েছে। আমি প্রথম ক্যামেরা হাতে পাই, মানে আমার নিজের ক্যামেরা হয় ২০১৮ এর এপ্রিল মাসের ২৬ তারিখ। ঐদিন রাতেই ছোট্ট একটা ট্রীপ এ চলে যাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়াতে। উদ্দেশ্য ছিল ট্রেনের ছবি তোলা। তখন রেল ছিল ভালোবাসার অপর
নাম (এখনও আছে)। নিচের এই ছবিটা আমার ক্যামেরা কেনার দ্বিতীয় দিনের তোলা ছবি। বলতে পারেন নতু ন ক্যামেরার প্রথম সারির ছবিগুলোর একটি ছবি। তখন ফ্রেমিং, কালার গ্রেডিয়েন্ট, ক্যামেরার সিটিং তেমন কিছুই বুঝতাম না। সবে মাত্র হাতে-খড়ি বলা যায়। আর কোন কাজে হাতে-খড়ি অবস্থায়, একজন মানুষ কতটা দক্ষ থাকে সেটা নিশ্চয়ই সকলেরই জানা। তারপর দেশের বিভিন্ন জায়গা চষে বেড়িয়েছি শুধুমাত্র ট্রেনের ছবি তোলার জন্য। পাবনার দিলপাশার ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, পূর্ব উত্তরাঞ্চলের সিলেট ও শ্রীমঙ্গলের
চা বাগানের ভিতর দিয়ে গমন করা রেলপথ, ভৈরবের রেল ব্রিজ, উত্তরবঙ্গের রংপুর ও দিনাজপুর, দক্ষিণের খুলনা ও যশোহর, উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের রাজশাহী ও নাটোর, পূর্ব দক্ষিণাঞ্চলের চট্টগ্রাম ও ফেনী আর ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চল তো আছেই। দেখেছি বাংলাদেশ রেলওয়েকে এবং ধারণ করার চেষ্টা করেছি তার ঐতিহ্যকে।
তবে ক্যামেরার এই প্রথম সারির ছবিটাই সফলতার মুখে দেখে ২০২০ সালে এসে। বাংলাদেশ রেলওয়ের ২০২০ এর সরকারি ক্যালেন্ডারের স্থান পায় এই ছবিটি। ধরতে গেলে আমার জীবনের এখন পর্যন্ত পাওয়া সেরা পুরষ্কার। তারপর আস্তে আস্তে ছবি তু লছি, শিখছি আর আপনাদের
দেখাচ্ছি। দোয়া করবেন যেন আরো ভালো ছবি তু লতে পারি ও আপনাদের ভালো কাজ উপহার দিতে পারি। আসসালামু আলাইকু ম
লেখক পরিচিতিঃ
মোহাম্মদ রাতুল
ফটোগ্রাফার
সরিষাবাড়ি, জামালপুর।