টিকেট হস্তান্তর – ওয়েটিং অপশন
ঢাকা বলুন আর অন্য স্টেশন বলুন ট্রেন ছাড়ার কিছুক্ষণ আগে স্টেশনে আসলে লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট পাওয়া বেশ মুশকিল । আমি প্রায়ই কাউন্টারের সামনে ওয়েট করি । মানুষজনের মুখ দেখি, হাত দেখি ! কেউ টিকেট ফেরত দেয়ার জন্যে ঘুরছে কিনা । আমার জানা আছে টিকেট ফেরত দেয়া এত সহজ না । আবার অনেকেই শেষবেলা যাত্রা বাতিল করেন । বাতিল সহজ না কারণ –
এক, লম্বা লাইন
দুই, টাকা পাবে অর্ধেক কিংবা আরো কম
তিন, অনেকেই টিকেট ফেরত দিবে এটা ভাবেই না
আমাদের দেশে ওয়েটিং টিকেট অপশন চালু করা গেলে বেশ উপকৃত হতাম । এতে অনেকেই শেষ মুহূর্তে আসন সহ টিকেট পেতে পারতো । যেহেতু রেল বিধি করেছেন ‘টিকেট হস্তান্তর নয়’ । তাই অনেকেই কাউন্টারে টিকেট ফেরত দিতে না পারলে তা নিজের পকেটেই রেখে দেন । আবার কেউ যাত্রা বাতিলের পর এই বিষয়ে চিন্তাই করেন না । এতে একজনের টাকা অপচয়, অন্যজনের ট্রেনে আসন খালি থাকার পরেও দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে হয় । অবশ্য এই পদ্ধতিতে টিকেট সেকেন্ড সেল করতে গেলে নিশ্চয়ই কারিগরি দক্ষতার প্রয়োজন পড়বে ।
টিকেট হস্তান্তর নিয়ে একটি ঘটনা বলি,
একবার ভদ্র লোককে বললাম, চাচাজি এখন টিকেট ফেরত দিলে ত কিছুই পাবেন না । ট্রেন ছাড়তে ১০ মিনিট বাকি । উত্তরে বললেন, টিকেট হস্তান্তর নিষেধ । পরে বললাম এত বড় লাইন কেমনে ফেরত দিবেন ? এরচেয়ে নিচে ফেলে দেন আমি কুড়িয়ে নেই । ভদ্রলোক বললেন তাহলে আমার টাকা ? আমি বললাম, আপনি এই নিরাপত্তা সদস্যদের বলুন টিকেট হারিয়ে গেছে মাত্র , ঠিক তখনি আমি বলবো ‘এই যে টিকেট আমি পেয়েছি ‘ । শেষে ভদ্রলোক বললেন, দেন ১৪০ টাকা । টিকেট কিন্তু হস্তান্তর হয়নি । আমি বললাম, তাতো হয় ই নি ।