হলিউডে বাংলাদেশ এক্সপ্রেস ট্রেন
- SOCIAL RESPONSIBILITY
- March 8, 2022
- 0
- 485
- 1 minute read
এই ট্রেনটির নাম যদি এই প্রথম শুনে থাকেন, তাহলে আজ একটুসময় নিয়ে পরিচিত হতেই পারেন এর সাথে বলাবাহুল্য,রেলওয়েতে চাকরি করলে যা হয় তা হচ্ছে দূরে কোথাও বেড়াতে গেলে আশেপাশে রেললাইন থাকলে সেখানে গিয়ে হাটতে ইচ্ছে করে, ছবি তু লতে ইচ্ছে করে। আর রেলওয়েতে চাকরিকরেন আমার মত এরকম অনেক মুভি লাভারসদের ক্ষত্রে যা হয় তা হচ্ছে, কোন মুভি দেখার সময় যখন বাংলাদেশর অভ্যান্তরে রেল সংক্রান্ত কোন কিছুদেখি, তখন সেই অংশটা টেনে আবার দেখি। আর সেটা যদি হয় অস্কারপ্রাপ্ত
কোন বিদেশি মুভি তাহলে তো আর কোন কথাই নেই।
একটুভেবে দেখুনতো ১৯৫০ এর দশকের অস্কার প্রাপ্ত হলিউড সিনেমাতে বাংলাদেশের লাউয়াছড়া। যার বক্স-অফিসঃ ৪২ মিলিয়ন ডলার। যে মুভিটি ১৯৬২ সালে তৎকালীন ঢাকার সবচেয়ে জনপ্রিয় সিনেমা হল গুলিস্তানে সিনেমাটি প্রদর্শিত হয় এবং ব্যাপক সারা পায়।
ক্যারিয়ারে নুন্যতম একবার অস্কার মনোনয়ন পেয়েছেন এমন ১৩ জন অভিনেতা এই চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ভাবা যায়? তাহলে জেনে নেয়া যাক আমাদের সাথে মুভিটির সম্পর্কে… সিনেমার নামঃ “Around the World in 80 Days” ছবিটির কিছু অংশের স্যুটিং হয় বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের কমলগঞ্জ উপজেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্দ্যানে।কথিত আছে সামান্য কিছু অংশ চট্টগ্রামের বাড়বকুন্ডে ও হয়। বাংলাদেশে ধারনকৃত সিনেমাটির পুরো অংশই ছিল রেল ভ্রমণের। এই রেল ভ্রমণে দেখা যায় ১৯৫০ এর দশকের বাংলাদেশের গ্রামীন জনপদ। সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্দ্যানে হাতিদের ঘুরে বেড়ানোর দৃশ্য। বলা বাহুল্য এখনো পর্যন্ত ট্রেন চলমান অবস্থায় সুন্দর দৃশ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে এই লাউয়াছড়া দিয়ে যখন ট্রেন চলে।
প্রয়োজন হলে জেনে রাখতে পারেন এ মুভি সম্পর্কে আরো কিছুতথ্যঃ “Around the World in 80 Days” পরিচালকঃ মাইকেল এন্ডারসন।চিত্রনাট্যঃ জেমস পো, জন ফারো, এস জে পেরেলম্যান। ১৮৭৩ সালে লেখা বিখ্যাত ফরাসী লেখক জুল
ভার্ন এর “Around the World in 80 Days” উপন্যাস থেকে গল্পটি নেওয়া হয়। নামকরন করা হয় উপন্যাসটির নামানুসারে। প্রযোজকঃ মাইকেল টোড। মূল চরিত্রে অভিনয় করেন ডেভিড নিভেন, ক্যান্টিনফ্ল্যাস, শার্লি ম্যাকলেইন। সিনেমাটি অস্কার নমিনেশন পায় ৮ ক্যাটাগরিতে। অস্কার জিতে ৫ ক্যাটাগরিতে। সিনেমাটির দৈর্ঘ্য ১৮৩ মিনিট যা শুধুমাত্র হলিউডের ইতিহাসেই নয়, বিশ্বের ইতিহাসের দীর্ঘতম সিনেমাগুলোর একটি। জনরাঃকমেডি। মুক্তির তারিখঃ ১৭ অক্টোবর, ১৯৫৬।মুভিটির চিত্রধারণ করা হয় ১৯৫৫ সালের শেষের দিকে, ৯আগস্ট থেকে ২০ ডিসেম্বর। নির্মাণে ব্যয় হয় আনুমানিক ৬০ লাখ ডলার। ১৩ টি দেশের ১১০ টি স্পটে স্যুটি ং হয়। ফিল্মটির প্রিমিয়ার শো হয় ১৯৫৬ সালের ১ অক্টোবর নিউইয়র্কসিটির রিভোলি থিয়েটারে। তার ১৮ মাস পর বিমান দুর্ঘটনায় সিনেমার প্রযোজক টোডের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর পর এই চলচ্চিত্র থেকে আয় হয় ৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার, যা সে সময়ে অকল্পনীয়, নজিরবিহীন
ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়। *গানিতিক তথ্যগুলো সংগৃহীত। তাহলে দেখে নেয়া যায় অস্কারপ্রপ্ত মুভিটি। এজন্য অবশ্যই আপনাকে একইসাথে একজন রেলপ্রেমী এবং মুভিলাভারস হতে হবে ।
লেখক পরিচিতিঃ
মোঃ নাইমুর রহমান
গুডস সহকারী
বাংলাদেশ রেলওয়ে।